বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলের ডাকা পঞ্চম দফার অবরোধে প্রথম দিন বুধবার বগুড়ার শেরপুরে পুলিশ, বিএনপি-আওয়ামীলীগের ত্রীমুখি সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে পুলিশ বাদি হয়ে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, তার ছেলে আসিফ রব্বানী সানভি, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম তোতা, বর্তমান সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, সংগঠনিক আব্দুল মোমিনসহ ৬৫ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে অজ্ঞাতনামা। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ জন নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলের ডাকা পঞ্চম দফার অবরোধে প্রথম দিন বুধবার বগুড়ার শেরপুরে পুলিশ, বিএনপি-আওয়ামীলীগের ত্রীমুখি সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়।

এ ঘটনায় বুধবার রাতে পুলিশ বাদি হয়ে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, তার ছেলে আসিফ রব্বানী সানভি, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম তোতা, বর্তমান সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, সংগঠনিক আব্দুল মোমিনসহ ৬৫ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে অজ্ঞাতনামা। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ জন নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য জাহিদুল ইসলামকে (৩৮) ভোর রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে, এরপরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে শেরপুর শহরের কলেজ রোড এলাকায় অবরোধের সমর্থনে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। সেখানে থেকে শেরপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহ্ মোহাম্মদ কাউসার আলী কলিংস (৩৫), স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল (৪৩), রায়হান কামাল রূপক (৩০) ও নয়ন মিয়া সুমনকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ।

জানা যায়, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অবরোধ সমর্থনে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি জি এম সিরাজের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি ঢাকা বগুড়া মহাসড়কের হাসপাতাল রোডের মোড়ের সামনে পৌছালে একই সময় ওই এলাকায় উপজেলা আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশের মিছিল আসে। দুই পক্ষের মিছিল ও সমাবেশ পাশা-পাশি অবস্থান নিলে পুলিশ উভয় পক্ষকে বাধা দেয়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ত্রিমুখি সংঘর্ষ বাঁধে।  ‍মুহুর্তে রণক্ষেতে পরিনত হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপি এই সংঘর্ষ চলে।

এ সময় সেখানে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে ওসিসহ ৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হোসেন আলী বাদি হয়ে ৬৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইন একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়ও অজ্ঞাতনামা অনেকে রয়েছে।

এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বাবু কুমার সাহা বলেন, গত বুধবার শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার পাশে অবরোধ চলাকালীন সময় বিএনপির হামলায় আমি, শেরপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক হোসেন আলীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। পরে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ