গত ২৮ অক্টোবর বিরোধী দলের মহাসমাবেশের সংবাদ সংগ্রহে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর বর্বর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনার গণতদন্তের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে।

আজ (২০ নভেম্বর) সোমবার ডিইউজে’র উদ্যোগে বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়া ও সাংবাদিকদের ওপর বর্বর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে  আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল হাইকোর্টের সামনে কদম পোয়ারা, তোপখানা রোড, ঘুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

ডিইউজে’র সভাপতি মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খানের উপস্থাপনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি  রুহুল আমিন গাজী,  ডিইউজে’র সাবেক সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, সহসভাপতি রাশেদুল হক, সাবেক সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও বিএফইউজে নির্বাহী পরিষদ সদস্য একেএম মহসিন, ডিইউজে’র কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর হোসেন, মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত ইবনে মঈন চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক ম. হামিদুল হক মানিক, ডিইউজে’র সাবেক নির্বাহী পরিষদ সদস্য এইচ এম আল আমিন, অপর্ণা রায়, ইসমাঈল আহসান, সর্দার আবদুল মতিন প্রমুখ।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, এ সরকারের আমলে সাগর- রুমিসহ ৬০জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। তাদের বিচার হয় না। গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বললে এবং দুর্নীতির সংবাদ পরিবেশনকারি সাংবাদিকদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, বিচার করা হচ্ছে। সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়া হত্যার তদন্ত ও বিচারের জন্য বারবার দাবি করা হলেও সরকার এখনো পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেয়নি। তারা বলেন, রফিক ভূঁইয়ার হত্যাসহ সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন থেকে একটি কমিটি গঠন করা হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র একসাথে চলে না। দেশে ভোটাধিকার নেই। পেশি কায়দায় দেশ চালাচ্ছে সরকার। গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হলে এ সরকারকে বিদায় দিতে হবে।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। সে কারণে তারা সরকারের সমালোচনাকারি মিডিয়া বন্ধ করে শত শত সাংবাদিককে বেকারত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছে। যারা আজ পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বাক স্বাধীনতা, সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের বিচার, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত সাংবাদিকদের আন্দোলন চলবে। সাংবাদিকদের চলমান এ আন্দোলনে সকলকে শরীক হবার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ