চুক্তি ভঙ্গ করে জমির মালিক ক্যাসিনোকান্ডের সেলিম প্রধান নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল এলাকার বিসমিল্লাহ পাইকারি কাঁচাবাজার ও ফলের আড়ত দখলে নেওয়ার পাঁয়তারার অভিযোগ করা হয়েছে। আজ ২৪মে শুক্রবার পাইকারি কাঁচাবাজার ও জমির ভাড়াটিয়া মালিক মজিবুর রহমান কাঁচাবাজারের সেটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে আড়তের পরিচালক আয়ুব আলী, ব্যবস্থাপক মামুনুর রহমান, আড়তদার কবির হোসেন, আবু সাঈদ, আব্দুল মালেকসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আড়তের মালিক মজিবুর রহমান বলেন, ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রূপগঞ্জে আধুরিয়া মৌজার ১৮১, ১৯২, ২৬০, ২০০, ১৭৭, ৪০৯, ১৬৩, ৪৫৮ নং আরএস দাগের ১৬ বিঘা জমি মাসিক ৭লক্ষ টাকা হারে জমি ভাড়া নিয়ে বিসমিল্লাহ পাইকারি কাঁচাবাজার ও ফলের আড়ত স্থাপন করি। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১০ বছরের জন্য ভাড়া প্রদানে চুক্তিবদ্ধ হই। বর্তমানে পাইকারি কাঁচাবাজার ও ফলের আড়ত, মুদিমনোহরী, আদা, রসুন, পেয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ৩৫০টি দোকান রয়েছে। আড়তটি এখন জমে উঠেছে। আড়ত লাভজনক হওয়ায় চুক্তিভঙ্গ করে জমির মালিক ক্যাসিনোকান্ডের সেলিম প্রধান ও তার নিয়োজিত সন্ত্রাসীরা আড়তটি দখলে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে। আড়তদার নাছির উদ্দিন, আবুল কাশেম, আমিনুল, সোহেল ও তোফাজ্জলসহ শতাধিক আড়তদারকে জিম্মি করে ১০হাজার টাকা থেকে ৫০হাজার টাকা পর্যন্ত জোরপূর্বক আদায় করেছে। আড়তের কয়েকটি দোকনের ক্যাশবাক্স ভাংচুর করে লুটপাট করেছে। আড়তদারদের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করছে। সেলিম প্রধানের সঙ্গে নতুন করে আড়তদাররা চুক্তিবদ্ধ না হলে তাদেরকে এলাকা ছাড়া করা হবে বলেও হুমকি প্রদান করা হচ্ছে।
এ ব্যপারে আড়ত মালিক মজিবুর রহামন রূপগঞ্জ থানায় জিডি করেছেন।
রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, বিসমিল্লাহ পাইকারি কাঁচাবাজার ও ফলের আড়তে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। আড়তে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সন্ত্রাসীরা যত প্রভাবশালীই হোক ছাড় দেওয়া হবে না।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ