পৃথিবীর সব ভাই ফুল না, তুমি ফুল হতে পেরেছিলে। সব ফুল ঝরে যায় ,শুধু গন্ধ থাকে বাতাসের মানচিত্রে।কারাগারে শুয়ে রাতের সময়  গুনতে -গুনতে পার করে দাও স্নেহের পথ। চোখের সীমাহীন সবুজ হলুদ হতে থাকে।জেগে থাকা মুখ নক্ষত্রের মায়াবী আলোয় মিশে যায়।
একটি জীবনের গল্প শুরু,শেষ পর্যন্ত জেগে থাকে পানকৌড়ি  জীবন।  আঙুল চলতে থাকে,  হৃদয় হাজার – হাজার কথার পথ মাড়িয়ে বোন চলে ঢাকা শহরের সূরম্য প্রাসাদে। পাখি জীবনের গল্প জমা হয়।  সোনাইতলী বিলে ঘাসফড়িং কাক ওড়ে জলাশয়ে, ট্রেন ছুটে চলে।
ভাইয়ের  বুকের ওমে জেগে থাকে ছোট হাত, পা মুখ।পানফুল অর্ঘ্য দেয় প্রজাপতির কাছে। চড়ুই জীবন শীতের হাওয়ায় উড়িয়ে  দিয়ে স্বরস্বতীর জয়গানে মূখর।
মুখের উপর আস্ত দিঘি নিয়ে  পানফুল বোন শুয়ে পড়ে রোদের বিছানায়। ছায়া – ছায়া কথা বলা।  দরজা অতিক্রম করে বোনটি পুরাতন চিঠি হয়ে পোস্ট অফিসে পড়ে থাকে।  চিঠির অক্ষর নতুন সবুজ পাতার মত। বৃষ্টিতে ভিজে, রোদ্রে শুকিয়ে ঝলমল করে।
আমি আমরা চিঠি পড়ি,পাঠ করতে – করতে জীবন ও মৃত্যুর সাঁকো পেরিয়ে  জীবন দেখি। কালো বিড়ালের গল্প তখন পৃথিবীর  পরতে – পরতেএভাবেই পানফুল হাঁটে নিজস্ব ধারাপাত জীবনে।
কবি – সিকতা কাজল
পোস্টটি শেয়ার করুনঃ