বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী ।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড এর কুচমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: হাফিজুল হাকিমের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি, অর্থ আত্নসাৎ ও নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে কুচমা গ্রামের সকল জনসাধারণ।

অভিযোগে এলাকাবাসী জানান, অত্র বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: হাফিজুল হাকিম ২০১৭ সাল থেকে বিদ্যালয়টির দায়িত্ব পালন করে আসছে। কিন্তু দু:খের বিষয় প্রধান শিক্ষক হাফিজুল হাকিম গ্রামবাসীসহ স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের সঙ্গে অসৎ আচরণ করে আসছে এবং বিদ্যালয়ের উন্নয়ন মূলক কাজ কর্ম করে না।

২০১৭ সালে বিদ্যালয়ের মেরামত বাবদ ১লক্ষ, ও ২০২২-২৩ অর্থবছরের মেরামত কাজের ২লক্ষ, স্লিপ এর কাজ বাবদ ৫০ হাজার, রুটিন মেরামত ৪০ হাজার, এবং প্রাক প্রাথমিকের ১০ হাজার সর্বমোট ৩লক্ষ টাকার কোনো কাজই করেন নাই এমনকি কোনো হিসাব দেননাই প্রধান শিক্ষক হাফিজুল।

এসএমসির সদস্য এবং গ্রামবাসী তার নিকট থেকে জোর পূর্বক একটি খসড়া তালিকা বুঝে নেয়। সেই হিসেবে প্রধান শিক্ষক হাফিজুল মনগড়া ৮৫ হাজার টাকার হিসাব দেখায়। বিদ্যালয়ের কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে তিনি নিজে একা একাই রাজমিস্ত্রী ও রংমিস্ত্রীকে কাজে নিযুক্ত করেন। বিদ্যালয়ের কোন কাজের বিষয়েই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি বা স্কুলের সভাপতির সাথে কোন ধরনের পরামর্শ করেন না।

অভিযোগে তারা আরো বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজুল হাকিম সহকারী শিক্ষক মোস্তফাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারপিট করে। তিনি বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে আসেননা, আসলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে কোন ক্লাস না করেই তিনি বাড়ীতে গিয়ে কাজকর্মে লিপ্ত হয়। স্কুল ছুটির আগ মুহুর্ত্বে বিদ্যালয়ে আবারো ফিরে আসেন হাফিজুল।আর এতে করে বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীদের পড়াশোনা মান বেহাল দশায় পরিনত হয়ে পড়েছে।

আর এসব দুর্নীতি অনিয়ম করতে প্রধান শিক্ষক হাফিজুল হাকিমকে সার্বিক সহযোগীতা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শাহানাজ পারভীন। অভিযোগে আরো বলেন, এর আগের প্রধান শিক্ষক বদলির সময় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সেই প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে অন্যায় ভাবে ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে সকলে ভাগাভাগি করে নেয়।

অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুল হাকিম ও শাহানাজ পারভীনকে বদলি করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনার জন্য সু-দৃষ্টি কামনা করেছে কুচমা গ্রামের সকল জনসাধারণ।

এ বিষয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজুল হাকিম বলেন, আমি অত্র স্কুলের মেরামত, স্লিপ এর কাজ, সঠিকভাবে করেছি, কোন রকম দুর্নীতি অনিয়ম ও টাকা আত্মসাৎ করি নাই।

অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি আনোয়ার হোসেন জনান,বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজুল হাকিম স্কুল মেরামত স্লিপ কাজের টাকা প্রাক প্রাথমিক, রুটিন এর টাকার ব্যাপারে অনিয়ম দুর্নীতি করেছে।

জানতে চাইলে এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুল হক জানান, কুচমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজুল হাকিম, এর বিরুদ্ধে স্লিপ রুটিন মেরামত পাক প্রাথমিক এর বিষয়ে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ মৌখিকভাবে পেয়েছি তবে লিখিতভাবে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ