বগুড়ার নন্দীগ্রামে সরকারী জায়গা দখল করে বিল্ডিং বাড়ি নির্মানের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত মাছেম প্রামানীকের ছেলে তোজাম্মেল হোসেন প্রামানিকের বিরুদ্ধে। ২/৩ দিন ভুমি কর্মকর্তাগন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও অজানা কারনে নির্মান কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
শনিবার ২০ এপ্রিল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবানীপুর গ্রামে সরকারী রাস্তা সংলগ্ন ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত সরকারী আনুমানিক ৬ শতক জায়গার উপর বিল্ডিং বাড়ি নির্মান করছেন ভবানীপুর গ্রামের তোজাম্মেল হোসেন। যে জায়গাটির অনুমানিক মূল্য ৯ লক্ষ টাকা।
ভবানীপুর গ্রামবাসী জানান, সরকারী জায়গার উপর বিল্ডিং বাড়ির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কুরশিয়া আক্তার কে জানানো হয়েছিল। এরপর সদর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বিল্ডিং নির্মানে নিষেধ করে চলে যান। পরে ১ সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর পুনরায় নির্মান কাজ চালু করেন তোজাম্মেল হোসেন। পরবর্তীতে আবারো ভূমি অফিসকে বিষয়টি জানালে ২য় বারের মত সদর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে তোজাম্মেল হোসেনের সাথে কথা বলে চলে যান। এরপর আবারো বিল্ডিং নির্মান কাজ চালু করেন তোজাম্মেল হোসেন। ৩য় বারের মত বিষয়টি ভূমি অফিসকে জানালে আবারো ঘটনাস্থলে আসেন ভুমি কর্মকর্তাগন এবং তোজাম্মেল হোসেনের সাথে কথা বলে চলে যান। বর্তমানেও বিল্ডিং নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। এখন বিল্ডিং বাড়িটির ২য় তলার কাজ চলছে। গ্রামবাসী বলেন, আজ যদি কোন গরীব মানুষ সরকারি জায়গায় বেড়া দিয়ে ঘর নির্মান করতো তাহলে প্রথম দিনেই তা ভেঙে দিত। তোজাম্মেল হোসেন বড়লোক, তার টাকা পয়সা আছে, সুতরাং সে দখল করলে কোন সমস্যা নেই। আসলে আইন কানুন গরীবের জন্য বড়লোকের জন্য না।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক তোজাম্মেল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ভূমি কর্মকর্তা সহ উপর মহল ম্যানেজ করেই বিল্ডিং বাড়ি নির্মান করা হচ্ছে। পত্রিকায় নিউজ করে কি করবেন।
এবিষয়ে সদর ইউনিয়ন ভূমি কমকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ২/৩ বার গিয়ে নিষেধ করে এসেছি। বিষয়টি সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্যারকেও জানানো হয়েছে। স্যার বলেছেন বিল্ডিং উচ্ছেদ করা হবে। কবে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন সেটা স্যার বলতে পারবেন। আপনি স্যারের সাথে কথা বলেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হুমায়ন কবীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শুরুতেই সহকারী কমিশনার ভূমিকে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। বর্তমানেও যদি বিল্ডি নির্মান কাজ চলমান থাকে তাহলে অতি দ্রত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গাটি দখল মুক্ত করা হবে।
পোস্টটি শেয়ার করুনঃ