পাটা উইকেট। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের এই উইকেটে বড় পরীক্ষা দেওয়ার কথা বোলারদের। কিন্তু উল্টো চিত্র দেখা গেল বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসে। কে কার চেয়ে বেশি খারাপভাবে আউট হতে পারে, সেই প্রতিযোগিতায় নামলেন টাইগার ব্যাটাররা। ফল যা হওয়ার তাই।

পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে নামার আগেই হারের অপেক্ষা। চলতি এশিয়া কাপে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে প্রতিরোধহীন অবস্থায় আত্মসমর্পণ করেছে সাকিব আল হাসান ব্রিগেড। বাবর আজমরা জিতেছে ৭ উইকেটের ব্যবধানে। ৬৩ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা।

বুধবার স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং স্বর্গে মাত্র ১৯৩ রানে শেষ হয় বাংলাদেশ ইনিংস। শুরুতে মাত্র ৪৭ রান তুলতেই টাইগাররা হারায় ৪ উইকেট। এখান থেকে দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন সাকিব ও মুশফিকুর রহিম। ১২০ বলের জুটিতে ১০০ রান যোগ করেন দুজনে। এই দুজন বিদায় নেওয়ার পর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ ইনিংস। মাত্র ৩ রানে শেষ ৪ উইকেট হারায় টাইগাররা। ৬৮ বল হাতে রেখেই অলআউট হয় বাংলাদেশ।

অনেকটা প্র্যাকটিস মুডে জমিয়ে জমিয়ে সহজ টার্গেটে পৌঁছায় পাকিস্তান। ইমাম-উল-হক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ছড়ি ঘোরান টাইগার বোলারদের ওপর। ৮৪ বলের ইনিংসে ম্যাচ সর্বোচ্চ ৭৮ রান আসে ইমামের ব্যাট থেকে। রিজওয়ানের হার না মানা ৬৩ রানের ইনিংসটি ৭৯ বলে গড়া। যদিও শুরুতে ভালোই ঝলকানি দেখান বাংলাদেশের দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। ওপেনার ফখর জামানকে (২০) দ্রুতই ফেরান শরিফুল। পাকিস্তান অধিনায়ক বাবরকেও বেশিদূর এগোতে দেননি তাসকিন। ১৭ রানে আউট হন বাবর। বাকি উইকেটটি নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে গণ আত্মহত্যার মিছিলে নামে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা মিরাজ ক্যাচ প্র্যাকটিস করান। মারেন গোল্ডেন ডাক। ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই বিদায় নেন এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা লিটন দাস (১৬)। শাহিন আফ্রিদির করা অফস্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মেরে ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে। পরপরই শূন্য হাতে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। হারিস রউফের জোরের ওপর করা বলে হয়ে যান বোল্ড। এরপর সাকিব-মুশফিকের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনাও তৈরি হয়। কিন্তু বিগ হিট নিতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে আসেন সাকিব। ফাহিম আশরাফের বলে পুল করতে গিয়ে ধরা পড়েন সীমানার ধারে। ৫৭ বলের ইনিংসে ৫৩ রান করেন সাকিব।

এই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি টাইগাররা। একটা ছক্কা মেরে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেন শামীম হোসেন। কিন্তু পরিস্থিতি ভুলে অযথাই অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হওয়ার খেসারত দেন শামীম (১৬)। বল তুলে দেন আকাশে। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় মুশফিকেরও। ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে। ৮৭ বলের ইনিংসে ৬৪ রান করেন মুশফিক। বাকি ব্যাটাররা যোগ দেন যাওয়া-আসার মিছিলে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ