শুক্রবার জুমার নামাজের প্রথমে একটি আজান দেওয়া হয়। তারপর খতিব খুতবা দেওয়ার সময় আরেকটি আজান দেওয়া হয়।

প্রথম আজানের মতো এই দ্বিতীয় আজানেরও কি জবাব দিতে হয়? বা এই আজানের জবাব দিলে কোনো অসুবিধা আছে? এক ব্যক্তি বলেছেন, এই দ্বিতীয় খুতবার আজানের জবাব দেওয়া যাবে না। তার কথা কি ঠিক? এ ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান কী?

মিজানুর রহমান, ঢাকা

উত্তর : জুমার নামাজে খুতবার আগমুহূর্তে যে আজান দেওয়া হয় এর জবাব দেওয়া যাবে কি না-এ ব্যাপারে ইসলামি আইনজ্ঞদের মধ্যে দুই ধরনের মতামতই রয়েছে। একটি মতে, এ আজানের জবাব দেওয়া যাবে না। এক বর্ণনায় এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) ও আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তারা জুমার দিন ইমাম সাহেব খুতবার জন্য বের হওয়ার পর মুসল্লিদের জন্য নামাজ পড়া এবং কথা বলা অপছন্দ করতেন (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ৫৩৪০)। এই বর্ণনা এবং অন্যান্য আরও বর্ণনার আলোকে অনেক ফকিহ বলেছেন, জুমার খুতবার আজানের জবাব দেওয়া যাবে না। পক্ষান্তরে, সহিহ বুখারির একটি হাদিস এবং অন্য আরও বর্ণনার আলোকে অনেক ফকিহ বলেছেন, জুমার খুতবার আজানের জবাব দেওয়া জায়েজ আছে। হজরত আবু উমামা ইবনে সাহল ইবনে হুনাইফ বলেন, আমি মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রা.)-কে দেখেছি, তিনি মিম্বারে বসা ছিলেন এবং মুয়াজ্জিন আজান দিলেন। মুয়াজ্জিন যখন বললেন, ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’, তখন মুয়াবিয়া (রা.)-ও বললেন, ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’। যখন আজান শেষ হলো তখন তিনি বললেন, হে লোকসকল! আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে এই মজলিসে যখন মুয়াজ্জিন আজান দেয় তখন এমনটিই বলতে শুনেছি, যেমনটি তোমরা আমাকে বলতে শুনলে (বুখারি : ৯১৪)। সুতরাং কেউ যদি জুমার খুতবার আজানের জবাব দেয় তা হলে তাকে নিষেধ করা যাবে না। (বাদায়েউস সানায়ে : ১/৪৯৫, আলবাহরুর রায়েক : ২/১৫৫, ইমদাদুল আহকাম : ১/৪১৯)

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ